পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ৯ ডিসেম্বর পালিত হলো হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় পূর্বধলা উপজেলা। দিনটিকে স্মরণীয় করতে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয় পূর্বধলা মুক্ত দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিজয় র্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান খান।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ তালুকদার, আব্দুল হাই তালুকদার, হারুন-অর-রশিদসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী পূর্বধলা থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর সকালে তারা গৌরীপুর থেকে ট্রেনযোগে পূর্বধলায় প্রবেশের চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় পাক বাহিনী পাবই রেলসেতু মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস করে দেয়। সেই দিনই শ্যামগঞ্জ পশ্চিম বাজারে মুক্তিযোদ্ধা সুধীর বড়ুয়াকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। পূর্বধলার এই যুদ্ধই ছিল নেত্রকোনা জেলার স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ লড়াই।
তবে স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও উপজেলার চারটি বধ্যভূমির মধ্যে ত্রিমোহনী বধ্যভূমির কিছু সংস্কার হলেও রাজপাড়া, পুকুরিয়াকান্দা ও জারিয়া ইউনিয়নের কংসনদ পাড়ের বধ্যভূমি এখনো অরক্ষিত এবং অযত্নে পড়ে আছে। এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ